আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফল তৈরির প্রক্রিয়ায় জেএসসির ফল যুক্ত হবে না। শুধুমাত্র অনুষ্ঠিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন পূর্ণ মানের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে। আর অনুষ্ঠিত না হওয়া পরীক্ষাগুলো ফল পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের ফলকে শতভাগ ভিত্তি ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল কীভাবে তৈরি করা হবে, তার এই প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে অনুমোদন করে সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়। পরে তা শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়।
এদিকে কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আশা করছি অক্টোবরের মাঝামাঝি ফল প্রকাশ করতে পারবো।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তী সময়ে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা প্রশাসন।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের
অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।